সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্তবর্তী ৭টি গ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টিতে শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার শুরু হয় এই ঝড় ও শিলাবৃষ্টি। চলে প্রায় ১৫ মিনিট পর্যন্ত।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার দিনব্যাপী সুনামগঞ্জের আকাশে সূর্যের তেমন তেজ ছিল না। দুপুর গড়িয়ে যখন বিকেল হয়, তখন হঠাৎ করে আকাশের কালো হয়ে যায়। সাথে সাথে শুরু হয় প্রবল বেগে বাতাস। এর ৫ মিনিট পর বাতাসের সাথে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। প্রায় ১৫ মিনিটের এই শিলাবৃষ্টিতে দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম বাঁশতলা, চৌধুরীপাড়া, মৌলারপাড়, কলোনি, নতুন বাঁশতলা, ঝুমগাঁও ও পেকপাড়া গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ির টিনের ছাউনির ব্যাপক ক্ষতি হয়।
বাঁশতলা গ্রামের বাসিন্দা বীরমুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ মিয়া বলেন, আমার এত বয়সে কোনোদিন এত বড় শিলা দেখিনি। পাথরের মতো এক একটা শিলা।
কলোনি গ্রামের বাসিন্দা মাহমুদ আলী বলেন, শিলা পড়ে টিনের চালে অসংখ্য বড় বড় ছিদ্র হয়ে গেছে। বৃষ্টির সঙ্গে বড় বড় শিলাও পড়তে থাকে। অনেকের ঘরের ভেতরের মালামাল নষ্ট হয়েছে।
বাঁশতলা গ্রামের বাসিন্দা রাকিব মিয়া বলেন, বিকেলে হঠাৎ করে ঝড়ো বাতাস শুরু হয়। পরে প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি হয়। এতে আমার ঘরের টিনের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসাইন বলেন, বাঁশতলা অঞ্চলে শিলাবৃষ্টিতে অজস্র টিনের তৈরি ঘর-বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক বাড়ি বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। আকস্মিক এ শিলাবৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েছেন এখানকার নিম্ন আয়ের মানুষ।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহের নিগার তনু বলেন, বিকেলের দিকে দোয়ারাবাজারে কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে। এতে দোয়ারাবাজার সদরে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কিন্তু উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে শিলাবৃষ্টির কারণে টিনের ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের তালিকা তৈরি করে সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
Leave a Reply